🌟 হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনী (সংক্ষিপ্ত)

🧬 পরিচয়

পুরো নাম: মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল মুত্তালিব
জন্ম: ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে, মক্কা শহরে (আরব উপদ্বীপ)
পিতার নাম: আব্দুল্লাহ
মাতার নাম: আমিনা বিনতে ওহাব
গোত্র: কুরাইশ
জন্মের আগেই পিতা এবং ৬ বছর বয়সে মাতাকে হারান

🧒 শৈশব ও কৈশোর

শৈশবে দাদা আব্দুল মুত্তালিব ও পরে চাচা আবু তালিব তাঁকে লালন-পালন করেন
ছোট থেকেই সততা, বিশ্বস্ততা ও বিনয়ী চরিত্রের জন্য পরিচিত ছিলেন
তিনি “আল-আমিন” (বিশ্বস্ত ব্যক্তি) নামে পরিচিতি লাভ করেন

💍 বিবাহ

২৫ বছর বয়সে ৪০ বছর বয়সী ব্যবসায়ী মহিলা হযরত খাদিজা (রা.)-র সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন
হযরত খাদিজা (রা.) ছিলেন তাঁর প্রথম ও একমাত্র স্ত্রী জীবনের প্রথম ২৫ বছর

🌠 নবুয়তপ্রাপ্তি

৪০ বছর বয়সে (৬১০ খ্রিঃ), হেরা গুহায় ধ্যানরত অবস্থায় প্রথম ওহি আসে — জিবরাইল (আ.) কুরআনের প্রথম আয়াত নাজিল করেন: “পড়ো তোমার প্রভুর নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন…” (সূরা আলাক)

🕋 ইসলাম প্রচার

প্রথমে গোপনে, পরে প্রকাশ্যে ইসলাম প্রচার শুরু করেন
মক্কার কুরাইশরা তীব্র বিরোধিতা করে, তাঁর অনুসারীদের নির্যাতন করে
এরপর অনেক সাহাবীসহ হাবশায় হিজরত করেন

🛡️ মদিনায় হিজরত

৬২২ খ্রিস্টাব্দে আল্লাহর নির্দেশে মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেন
এই ঘটনাকে ইসলামি ক্যালেন্ডারের (হিজরি) সূচনা ধরা হয়
মদিনায় ইসলামী রাষ্ট্র গঠিত হয়; মুসলিম ও ইহুদিদের সহাবস্থানে একটি চার্টার (মদিনার সনদ) তৈরি করেন

⚔️ যুদ্ধ ও সংহতি

মদিনায় বসবাসকালীন সময়ে বদর, উহুদ ও খন্দকের যুদ্ধ হয়
ইসলামের শত্রুরা বহুবার আক্রমণ চালায়, কিন্তু মুসলিমরা আল্লাহর সাহায্যে প্রতিরোধ করে

🕊️ মক্কা বিজয়

৮ হিজরিতে (৬৩০ খ্রিঃ) তিনি কোনো রক্তপাত ছাড়াই মক্কা বিজয় করেন
মক্কার কাফিরদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন
কাবাঘর থেকে মূর্তি সরিয়ে ইসলামি তাওহিদের প্রতিষ্ঠা করেন

📖 বিদায় হজ

১০ হিজরিতে বিদায় হজ পালন করেন
প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার সাহাবিকে নিয়ে হজ সম্পন্ন করেন
সেখানে তাঁর বিখ্যাত বিদায়ী খুতবা প্রদান করেন: “তোমাদের উপর আমার দ্বীন পূর্ণ করে দিলাম…” (সূরা মায়িদা ৫:৩)

🕯️ ইন্তেকাল

১১ হিজরির ১২ রবিউল আউয়াল (৬৩২ খ্রিঃ), সোমবার
তাঁর বয়স ছিল ৬৩ বছর
ইন্তেকালের সময় তিনি আয়েশা (রা.)-এর ঘরে অবস্থান করছিলেন

💖 উপসংহার

হযরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন আল্লাহর প্রেরিত সর্বশেষ নবী ও রাসূল। তিনি শুধু ধর্মীয় নেতা নন, বরং ছিলেন ন্যায়বিচারক, শান্তিপ্রেমী, সমাজ সংস্কারক এবং মানবতার সর্বোত্তম আদর্শ। তাঁর জীবন আমাদের জন্য চিরন্তন পথনির্দেশনা।

📘 হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর বিশদ জীবনী

✨ ১. জন্ম ও পারিবারিক পটভূমি

জন্ম: ১২ রবিউল আউয়াল, ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দ (মতভেদ আছে), মক্কা নগরীতে
গোত্র: কুরাইশ, বনি হাশিম বংশ
পিতা: আবদুল্লাহ (মৃত্যু ঘটে জন্মের আগেই)
মাতা: আমিনা বিনতে ওহাব (মৃত্যু ঘটে ছয় বছর বয়সে)
দাদা: আব্দুল মুত্তালিব
চাচা: আবু তালিব (অতিশয় স্নেহভাজন ও রক্ষাকর্তা)

🧒 ২. শৈশব ও কৈশোর

দুধ মাতা ছিলেন হালিমা সাদিয়া (রা.), যাঁর কাছে গ্রামীণ পরিবেশে কিছু বছর কাটান
ছোট থেকেই ছিলেন শান্ত, মৃদুভাষী ও চিন্তাশীল
গবাদি পশু চরানো, বাণিজ্য সফর, ও সততার কারণে আল-আমিন উপাধি পান

💍 ৩. বৈবাহিক জীবন

২৫ বছর বয়সে ধনাঢ্য ও সচ্চরিত্র মহিলা খাদিজা (রা.)-র সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন
তাঁরা ছিলেন আদর্শ দম্পতি
তাঁদের ঘরে জন্ম নেয়:
- কাসিম, আব্দুল্লাহ (শৈশবে মৃত্যু)
- জয়নব, রুকইয়্যা, উম্মে কুলসুম, ফাতিমা (রা.)

📜 ৪. নবুয়তের পূর্ব জীবন

সমাজের কুসংস্কার, মূর্তিপূজা, নারী নির্যাতন, ব্যভিচার ও অবিচার দেখে ব্যথিত ছিলেন
হেরা গুহায় ধ্যান ও আল্লাহর নিকট সঠিক পথের সন্ধান চাইতেন
তিনি কখনো মিথ্যা বলতেন না, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করতেন না

🌟 ৫. নবুয়ত প্রাপ্তি

৪০ বছর বয়সে (৬১০ খ্রিঃ) প্রথম ওহি নাজিল হয়
জিবরাইল (আ.) কুরআনের প্রথম আয়াত (সূরা আলাক ১-৫) নাজিল করেন
শুরু হয় ইসলামের দাওয়াত—প্রথমে গোপনে, পরে প্রকাশ্যে

🕋 ৬. ইসলাম প্রচারে বাধা ও নির্যাতন

মক্কার কাফিররা তাঁকে ও সাহাবীদের নির্যাতন করে
অনেক সাহাবীকে শহীদ করা হয় (যেমন: সুমাইয়া, ইয়াসির)
আবু বকর, ওসমান, আলী প্রমুখ সাহাবীরা ছিলেন প্রথম দিকের মুসলিম
৫ম ও ৭ম বছর: হাবশায় হিজরত, কারণ পরিস্থিতি ছিল অত্যন্ত ভয়াবহ

🛫 ৭. তায়েফ সফর ও মিরাজ

তায়েফবাসীরা তাঁকে পাথর নিক্ষেপ করে অপমান করে
এর পরপরই ঘটে বিস্ময়কর ঘটনা: মিরাজ
- তিনি এক রাতে বায়তুল মোকাদ্দাস এবং সপ্তাকাশ পর্যন্ত ভ্রমণ করেন
- নামাজ ফরজ হয় এই মিরাজে

🛡️ ৮. মদিনায় হিজরত ও ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা

৬২২ খ্রিঃ — মদিনায় হিজরত (হিজরি ক্যালেন্ডারের শুরু)
মদিনায় এসে ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন
মদিনা সনদ: বহুধর্মীয় সমাজে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের সংবিধান
মুসলমান ও ইহুদিদের মধ্যে দ্বন্দ্ব এড়াতে একতা প্রতিষ্ঠার প্রয়াস

⚔️ ৯. প্রধান যুদ্ধসমূহ

বদরের যুদ্ধ (২ হিজরি) – মুসলমানদের বিজয়
উহুদের যুদ্ধ (৩ হিজরি) – মুসলিমদের কষ্টকর পরাজয়
খন্দক (৫ হিজরি) – মদিনা রক্ষা পায়, একতা ও কৌশলের জয়
হুদাইবিয়ার সন্ধি (৬ হিজরি) – শান্তিচুক্তি; পরে মক্কা বিজয়ের পথ খুলে দেয়

🕊️ ১০. মক্কা বিজয়

৮ হিজরিতে মুসলিমরা বিজয়ের মাধ্যমে মক্কায় প্রবেশ করে
হযরত মুহাম্মদ (সা.) সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন, প্রতিশোধ নেন না
কাবাঘরের সকল মূর্তি ধ্বংস করে তাওহিদের বিজয় ঘোষণা করেন

🕋 ১১. বিদায় হজ ও খুতবা

১০ হিজরিতে হজ করেন প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার সাহাবী নিয়ে
বলেন: “তোমাদের মধ্যে কেউ কারো ওপর শ্রেষ্ঠ নয়, সকলেই আদমের সন্তান।”
“নারীদের সাথে সদ্ব্যবহার করো।”

🕯️ ১২. ইন্তেকাল

১১ হিজরি, ১২ রবিউল আউয়াল — আয়েশা (রা.)-এর ঘরে ইন্তেকাল করেন
তাঁর বয়স ছিল ৬৩ বছর
তাঁকে দাফন করা হয় মসজিদে নববিতে

🌺 হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর চরিত্র ও শিক্ষা

সর্বশ্রেষ্ঠ নৈতিকতা: আল্লাহ বলেছেন: “তোমার চরিত্র তো মহান।” (সূরা কলম: ৪)
ক্ষমাশীলতা, বিনয়, দয়া, ইনসাফ — তাঁর জীবনের মূল স্তম্ভ
তিনি অনাথ, গরিব, নারী, শিশু ও দাসদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা রাখেন

আগে নামাজ পড়ে আসেন তারপর কাজ শুরু করুন l

If you have prayed, it is very important to pray. Pray first and then start working.

Chat On WhatsApp

Please Contact with us for more details.
Our Services

Phone : +8801566058831
WhatsApp :�wa.me/8801933307999
Skype : azadarch
Our Website : www.azadservice.com
Telegram for more information : https://t.me/Azadservice
Email US : azadarc@gmail.com